বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার (২১ মে) প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
মামলার পটভূমিতে জানা যায়, ২০০৬ সালে তৎকালীন গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ‘ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি সংগঠনকে মিরপুর ৮ নম্বর সেকশনে সাত একর জমির একটি প্লট অনিয়মিতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযুক্তরা ছিলেন— সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) আজহারুল হক, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ক্যাশিয়ার মো. মনুসর আলম এবং হিসাব সহকারী মতিয়ার রহমান।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান আজহারুল হককে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস এবং বিজন কান্তি সরকারের নাম নতুন করে যুক্ত করেন। এতে অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচজন।
২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।
তবে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর এবার আপিল বিভাগ মামলাটি বাতিল করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রমের অবসান ঘটাল।